প্রশ্ন: মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর একটা পর্ব শেষ হয়েছে, এখানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল সিন্ডিকেট, এই সিন্ডিকেট নিয়ে কিছু বলুন।
উত্তর: সিন্ডিকেট কারো জন্য কাম্য নয়, কোন সেক্টরে কাম্য নয়, কল্যাণকরও নয়। মালয়েশিয়ার মার্কেটটা খোলার জন্য যখন বিভিন্ন ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং হয় তখন আমাদের বেশিরভাগ সদস্যের মূল কথা ছিল যেন কোন সিন্ডিকেট না হয়, সবাই যেন কাজ করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পত্রপত্রিকার মাধ্যমে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি, মানববন্ধন করেছি, সাংবাদিক সম্মেলন করেছি।
একটা পর্যায়ে এসে যখন দেরি হচ্ছে তখন মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে প্রস্তাবটা এলো। তারা বললো, আমরা রিসিভিং কান্ট্রি হিসেবে তোমাদের দেশের যতো বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি আছে সবার তালিকা আমাদের কাছে পাঠাবে, সেখান থেকে আমরা লাইসেন্স পছন্দ করবো। কারণ তোমাদের এতো হাজারো রিক্রুটিং এজেন্সিকে ঢুকতে দিলে আমাদের মার্কেটটা স্যাচুরেটেড হয়ে যাবে। এটা হচ্ছে তাদের প্রস্তাব। সেই প্রেক্ষাপটে আমাদের মন্ত্রণালয় বা সরকার মনে করেছে দ্রুত লোক যাওয়া দরকার, সে কারণে এমওইউতে এমন একটা ক্লজ ইনক্লুড করা হয়েছে এবং সেই সুযোগটাই মালয়েশিয়ার অথরিটি নিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার ১৫২০ রিক্রুটিং এজেন্সির নাম পাঠিয়েছে। সেখান থেকে মালয়েশিয়ার অথরিটি যেভাবে হোক একশ একটা রিক্রুটিং এজেন্সিকে পিক করেছে। এই পিক করার প্রক্রিয়াটা নিয়ে আমরা প্রশ্ন করতে পারি না, এটা তাদের ব্যাপার। এমওইউ হয়ে গেছে, একশ একটা এজেন্সি পছন্দ করে ফেলেছে, চুক্তি অনুযায়ী সরকারও চাইছে লোক যাক দ্রুত। তখন আমাদের বিবেচেনা ছিল, স্মুথলি কাজটা হোক। আমি পাঠাতে না পারি, যে বা যারা পারে তারা লোক পাঠাক। আমি ব্যক্তিগত স্বার্থ যতোটুকু দেখবো, দেশের স্বার্থ তার চাইতে বেশি আমাকে দেখতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের মেম্বাররা হয়তো চুপ ছিল। তবে তারাও কোন না কোনভাবে ইনভলব হয়ে গেছে। ভেরি আনফরচুনেট আমরা যারা সেই সময় রাস্তায় আন্দোলন করেছিলাম তাদের মধ্য থেকে অনেকে এই একশ এক জনের মধ্যে ঢুকে গেছেন। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ এর পার্ট হয়ে গেছেন।
প্রশ্ন: সংখ্যা নিয়ে মত ভিন্নতা আছে, সংখ্যা যাই হোক, যারা যেতে পারেনি তারা কি টাকা ফেরত পাবেন?
উত্তর: সরকার পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে, যে বা যারা যেতে পারেনি তাদেরকে উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন জামা দিতে। বায়রা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বলেছে কাগজপত্র জমা দিতে। এর মধ্যে অনেকে উপযুক্ত কাগজপত্র দিয়ে মন্ত্রণালয়ে দরখাস্ত করেছে। বায়রাতে যেগুলো জমা পড়েছে. আমরা মন্ত্রণালয়ে সেগুলো পাঠিয়ে দিয়েছি।
আমরা এইটুকু আশ^াস দিয়ে বলতে পারি, যারা যেতে পারেনি তারা যে টাকাটা রিক্রুটিং এজেন্সিকে দিয়েছে, তাদের টাকা যাতে রিক্রুটিং এজেন্সি ফেরত দেয় সে ব্যবস্থা করবো। এর মধ্যে অনেক এজেন্সি টাকাও ফেরত দিয়েছে। যে পরিমাণ আবেদন জমা পড়েছে তাতে দেখা যায় সংখ্যা নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে তা আসলে অনেক কম। যতোটা আওয়াজ উঠেছিল বিষয়টা ততোটা নয়।
প্রশ্ন: মালয়েশিয়ায় এখন আন-ডকুমেন্টটেড শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এতো সংখ্যক আন-ডকুমেন্টটেড শ্রমিক গেল কি করে?
উত্তর: শ্রমিকরা আন-ডকুমেন্ট হয়নি। মাঝ খানে মালয়েশিয়া দুই মাস ভিসা পাঠায় নি। এই দুই মাস যেভাবে হোক, যার মাধ্যমে হোক, আমরা শুনেছি দুই লাখ লোক ভিজিট ভিসায় মালয়েশিয়ায় ঢুকেছে। মালয়েশিয়া একটা ট্যুরিস্ট কান্ট্রি, ভিজিট ভিসায় ঢুকে কেউ কাজ পেয়েছে, কেউ কাজ পায়নি। তারা আন ডকুমেন্ট হয়েছে। ইন্টারন্যশনাল মিডিয়ায় নিউজ এসেছে, যাদেরকে পাওয়া গেছে তাদের সবাই ভিজিট ভিসায় সেখানে গেছে।
বৈধ পথে যারা গেছে, প্রথম দিকে একটু চাপ থাকলেও পর্যায় ক্রমে তাদের চাকরি হয়ে গেছে। এপ্রিল মাসে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, চাকরি হয়নি এমন সংখ্যা পাঁচ হাজার প্লাস হবে, পর্যায়ক্রমে তাদেরও চাকরি হয়ে গেছে।
প্রশ্ন: সিন্ডিকেটের কারণে কস্ট বেড়ে গেছে, যারা গেছে তাদের টাকা তুলতে অনেক সময় লেগে যাবে, তা হলে শ্রমিকদের দারিদ্র্য-বিমোচন কি করে হবে?
উত্তর: মালয়েশিয়াকেন্দ্রীক যদি বলি, আমি বলবো সরকার যে কস্ট নির্ধারণ করে দিয়েছে তার বেশি হওয়া উচিত ছিল না। কেন হলো? কারণ, এমওইউতে ছিল টিকিটসহ ওয়ার্কারদের সব কস্ট মালয়েশিয়া দেবে, তারা সেটা দেয়নি। যার জন্য সরকার নির্ধারিত কস্ট আমাদের এখানে ফলো করতে পারেনি।
এই সেক্টরে কিন্তু আপনি ফিক্সড কস্ট বলতে পারবেন না। এক এক জনকে জিজ্ঞাসা করবেন এক একটা কস্ট বলবে। আমাদের মাইগ্রেশন সেক্টরে ফিক্সড কস্ট আপনি কারো কাছে পাবেন না। মালেয়শিয়ায় তো নয়ই। মালয়েশিয়ায় যেতে কতো লেগেছে জিজ্ঞাসা করলে একজন বলবে ৩ লাখ টাকা লেগেছে, অন্য কেউ বলবে চার পাঁচ লাখ লেগেছে। ফিক্সড কস্টের কিছু নেই। সাব এজেন্ট বা মধ্যস্বত্বভোগী যার কাছ থেকে যা নিতে পেরেছে তাই কস্ট।
প্রশ্ন: সিন্ডিকেটের কারণে কস্ট বেড়েছে এটা দূর করা যায় কিভাবে ?
প্রশ্ন: সিন্ডিকেট আমাদের এখানেও আছে প্রকিউরমেন্ট সাইডেও আছে। কস্ট বাড়ে কিভাবে? কস্ট হচ্ছে, আমার ডেস্টিনেশন কান্ট্রিতে আমার জন্য কেউ প্রকিউর করে, সেটার একটা কস্ট আছে। এটা কেবল মালয়েশিয়াতে নয়, সব মার্কেটে প্রকিউরমেন্ট কস্ট আছে। এই কস্টটা যোগ করতে হবে তো। জবটা আমার কাছে ফ্রি আসছে না, জিরো কস্টে আসছে না। সেই কস্ট আর এই দিকের কস্ট, তার সঙ্গে টিকিটের দাম হাই হয়ে গেছে, সবকিছু মিলে কস্ট বেড়ে গেছে।
প্রশ্ন: সিন্ডিকের জন্য ভিসা ট্রেডিংকে দায়ী করা হচ্ছে। এটি বন্ধ করা যায় কি করে?
উত্তর: ভিসা ট্রেডিং বলতে কি বুঝায়? আমি একজন এম্পলয়ারকে বলে এলাম যে, আমি তোমাকে এই সুযোগ-সুবিধা দেব। এর পরে আমার এক কলিগ গিয়ে তাকে বললো আমি আরো দেব - এটাকে বলে ভিসা ট্রেডিং। এটা আনইথিক্যাল, নিঃসন্দেহে ভালো নয়, সব দেশেই এমন হয়ে থাকে। পাকিস্তানে আছে, ইন্ডিয়াতেও আছে। কম্পিটিশন করে কস্ট হাই করে দিচ্ছি, সেটা বন্ধ করতে হবে। আমাদের ইথিক্যাল হতে হবে। প্রথম কথা হচ্ছে, মানবিক দিক থেকে দেখতে হবে। মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে, মানবিক হতে হবে তার পর আমার ব্যবসা। আমরা ব্যবসা করবো, কতো করবো ব্যবসা? মজুরির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একটা ওয়ার্কার থেকে কতো টাকা চার্জ করা যেতে পারে এগুলো আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। সামনে আমাদের এগুলো চিন্তা করতে হবে।
প্রশ্ন: অভিবাসন ব্যয় কমাতে করণীয় কি বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: এখানে অনেকগুলো স্টেইকহোল্ডার আছে। প্রথম স্টেকহোল্ডর হচ্ছে যে যাবে সে, তাকে প্রথমে জানতে হবে কতো বেতন পাবে, যাওয়ার জন্য কতো টাকা সে দেবে। অংক করতে হবে, আমি যে জন্য যাবো, আমার যদি অতো টাকা খরচ হয় আমি যাবো না। কারণ এই টাকা তুলতে আমার এতো দিন লাগবে। এই অ্যাওয়ারনেসটা করতে হবে। দ্বিতীয় স্টেইকহোল্ডার হচ্ছে আমারা যারা সর্ভিস দিয়ে থাকি তারা। তৃতীয় হচ্ছে আমার সরকার। আমার দেখতে হবে মেডিকেল করতে কতো লাগবে, পাসপোর্ট করতে কতো লাগবে, টিকিট করতে কতো লাগবে। ৩০ হাজার টাকার টিকিট এক লাখ টাকায় উঠে যায়, যখন রাশ হয়। এই পুরো মিলেই তো কস্ট।
এই সেক্টরটা একটা সাপ্লাই চেইনের ওপর চলে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে আমাদের হাত পর্যন্ত আসতে হলে কয়েক হাত হয়ে আসতে হয়। মাঝ খানের এই চেইনটা যতোক্ষণ না ভাঙ্গা যাবে ততোক্ষণ কস্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন না।
প্রশ্ন: কস্ট বৃদ্ধিতে দালালদের ভূমিকা আছে, প্রযুক্তির যুগে এটা কমানো যাচ্ছে না কেন?
উত্তর: তারা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাছে আসছে না কেন? সরকার প্রতিনিয়ত অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন করছে যে, জেনে শুনে বিদেশ যাও। বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে যাও। যাওয়ার আগে তুমি নিশ্চিত হও তুমি কতো টাকা দিয়ে যাচ্ছ, তুমি কতো বেতন পাচ্ছ। যে অরিয়েন্টেশন যখন হয়, ভিসা হওয়ার আগে পরে যে অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামগুলো হয় সেগুলো করার পরও তারা দালালের কাছে যাচ্ছে কেন?
একটা উদাহরণ দিচ্ছি, লিবিয়া দিয়ে ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যে যাচ্ছে, সেখানে এতো লোক মরছে সেটা দেখছে না? বিটিভিতে দেখছে না? মৃত্যুগুলো নিজের চোখে তো দেখছে, এগুলো জেনে তারপরও যাচ্ছে। একটা এলাকার একটা সাকসেস একশ জনকে প্রলুবদ্ধ করে। ওই এলাকা থেকে কোন একজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ পথে গেছে। এই সাকসেসটা দেখিয়ে একশজনকে প্রলুব্ধ করতে পারছে দালালরা। হাতে হাতে স্মাটফোন। তথ্য-প্রযুক্তি গ্রামে পৌঁছে গেছে, প্রতি উপজেলায় পৌঁছে গেছে। তারা সেখান থেকে খবর নিতে পারে। মোট কথা, যে যাবে তাকে সচেতন হতে হবে। মাধ্যম ছাড়া আসতে হবে। মেইন স্টেইকহোল্ডাররা হচ্ছে আমার কর্মী, যে যাবে তাকে আগে সচেতন হতে হবে, তাকে জেনে যেতে হবে।
আমার কথায় সে যতোটুকু আকৃষ্ট হবে, তার পাশের বাড়ির লোকটার কথায় বেশি আকৃষ্ট হবে। কারণ ওই ল্যাঙ্গুয়েজটা সে জানে। এগুলো থেকে যে যাবে তাকে উঠে আসতে হবে। সে তাকে বিশ^াস করুক, এর পর সরাসরি এজেন্সির অফিসে আসুক, জানুক। বলুক, আমাকে যে পাঠাচ্ছেন কোন দেশে পাঠাচ্ছেন, কতো বেতনে পাঠাচ্ছেন, কি কাজে পাঠাচ্ছেন? একটা ওয়ার্কারকে জিজ্ঞাসা করেন একটা অফিস চিনে কিনা।
প্রশ্ন: টিকিট প্রাইস একটা বড় কারণ কস্ট বৃদ্ধির জন্য, এর সমাধান কি?
উত্তর: এটা নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি। এটা সিভিল এভিয়েশনের বিষয়। কোভিডের সময়, সৌদি থেকে যারা এসেছিল ওই সময় টিকিটের দাম অনেক বেড়ে গেছিল। অনেক হৈচৈ হয়েছিল। সরকার তাদেরকে কিছু সহযোগিতা করেছে।
এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো, গত বছর যে ১৩ লাখ কর্মী গেছে বিদেশে, এই ১৩ লাখের কতো পারসেন্ট ন্যাশনাল ক্যরিয়ারে গেছে? খুব বেশি হলে ১০ পারসেন্ট, ৯০পারসেন্ট ইন্টারন্যশনাল ক্যরিয়ারগুলো ক্যারি করেছে। টিকিটের দাম কেবল বাংলাদেশ বিমান বাড়ায়নি, সমস্ত এয়ারলাইন্স বাড়িয়েছে। এদের সঙ্গে যে এটা টেকনিক্যাল ইস্যু আছে আমি ঠিক উত্তর দিতে পারবো না। এবারও মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাওয়ার সময় টিকিটের দাম যখন বাড়ে আমরা সরকারের এটেনশান ড্র করেছি কিন্তু কমাতে পারিনি।
গভর্ণমেন্ট কি দায়িত্ব নেবে? গভর্ণমেন্টের ফ্লাইট আছে কয়টা? ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স একমত থাকত হবে। আমাদের পর্যাপ্ত ফ্লাইট থকালে লেবার কস্টে পাঠাতে পারতাম। যখন মালয়েশিয়ায় লোক যাচ্ছিল, তখন হজে¦র মওসুম চলছিল। ওটাকে প্রায়রিটি দিতে হয়। ওটা একটা আর্জেন্ট ইস্যু। সেটারও একটা চাপ ছিল। তারপরও বিমান অনেকগুলো একট্রা ফ্লাইট দিয়েছে।
প্রশ্ন: সরকার চাইলে টিকিটে ভর্তুকি দিতে পারে?
উত্তর: সরকার তো সফট লোন দিচ্ছে, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে। আমাদের অবকাঠামো আছে কিনা দেখবেন না। বছরে ১৩ লাখ লোক যায়, এদের টিকিট দেয়ার সামর্থ্য আছে কিন দেখতে হবে। ইকোনোমি কি সেই পর্যায়ে এসেছে?
প্রশ্ন: রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য কি কি প্রদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: এটা আসলে আমাদের সেক্টরের কাজ নয়, এটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে, অর্থমন্ত্রণালয়কে।
সেবার মান বাড়াতে হবে। সেবার মানকে সরাসরি করে দিতে হবে। একজন শ্রমিক যাতে ঘরে বসে সে তার টাকা দেশে পাঠাতে পরে সে ব্যবস্থা থাকতে হবে। ফরমাল চ্যানেলে পাঠাতে হলে তাকে ব্যাংকে যেতে হবে, এর জন্য ছুটি নিতে হবে। তার একটা দিন নষ্ট হবে। ব্যাংকে গেলে তাকে ডকুমেন্টেড হতে হবে। পৃথিবীর বহু দেশে আনডকুমেন্ট শ্রমিক রয়ে গেছে। পুরো ইউরোপ জুড়ে আনডকুমেন্ট ওয়ার্কার বেশি। মালদ্বীপে আছে ৬০ হাজারের ওপরে আন-ডকুমেন্ট ওয়ার্কার। ফরমার চ্যানেলে টাকা পাঠাতে হলে ডকুমেন্ট চাইবে ব্যাংক। তারা কিভাবে পাঠাবো? এর জন্য এপস তৈরি করতে হবে, প্রোগ্রাম তৈরি কতে হবে। এই সুযোগগুলো যতোদিন না করে দিতে পারবো, প্রযুক্তি যতোক্ষণ হাতে তুলে দিতে না পারবো ততোক্ষণ সমস্যা থেকে যাবে।
প্রশ্ন: মালয়েশিয়ার বাজার আবার কবে নাগাদ খুলতে পারে? আবারও কি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে?
উত্তর: আমদের সরকার চেষ্টা করছে, যতোটুকু জনতে পেরেছি ওদেরও লোক দরকার আছে। এইটুকু বলতে পারবো।
বায়রার পক্ষ থেকে আমাদের পরিষ্কার কথা হচ্ছে, এই মার্কেটটায় যেন সিন্ডিকেট না হয়, কোন মার্কেটে যেন সিন্ডিকেট না হয়, যতো করে সরকার যতোগুলে এজেন্সিকে কাজ করার লাইসেন্স দিয়েছে, তারা সবাই যাতে কাজ করার সুযোগ পায়।
যাতে যার ক্যাপাসিটি আছে সেই ক্যাপাসিটি অনুযায়ী কাজ করতে পারে। সিম্পলি, আমার যতটুকু ক্যাপাসিটি আছে, আমার যতটুকু প্রকিরউমেন্ট ক্যাপাসিটি আছে সে অনুযায়ী যাতে মার্কেটে কাজ করতে পারি সে জন্য মার্কেট ওপেন থাকতে হবে। তা করতে হবে অভিবাসন ব্যয় কমানোর জন্য। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
[ মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর একটা পর্ব শেষ হয়েছে সম্প্রতি, বরাবরের মতো এবারও সিন্ডিকেটসহ নানা বিতর্ক ছিল। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে ঘিরে আসা নানা প্রসঙ্গ নিয়ে সাপ্তাহিক প্রবাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন বায়রার মহাসচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী। সাক্ষাৎকারটা নিয়েছেন সাপ্তাহিক প্রবাসনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খোকন দাস। ]
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
খোকন দাস
সম্পাদক মন্ডলি
সৈয়দা পারভীন আক্তার
ফকরুদ্দীন কবীর আতিক
মোঃ ইলিয়াস হোসেন
মোঃ শাহাদাত হোসেন
পরিচালক মন্ডলি
ছিদ্দিকুর রহমান ভুঞ্রা (পরিচালক, ফিন্যান্স)
মোস্তাফিজুর রহমান (পরিচালক, পাবলিকেশন)
শান্ত দেব সাহা (পরিচালক, এইচ আর)
শাহরিয়ার হোসেন (পরিচালক, মার্কেটিং)
বার্তা সম্পাদক
মোঃ হাবীবুল্লাহ্
সিনিয়র রিপোর্টার
মোঃ জাকির হোসেন পাটওয়ারী
ভারপ্রাপ্ত প্রকাশক, আরিফুর রহমান কর্তৃক
ডা. নওয়াব আলী টাওয়ার, ২৪ পুরানা পল্টন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৩২ ৪১৭ ৫১৭
Email: [email protected]
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || ProbasonNews.com