ছবি প্রবাসন নিউজ
[ জনশক্তি রফতানি খাতের সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রবাসন নিউজের সঙ্গে কথা বলেন সেন্টার ফর এনআরবি’র চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধুরী। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন প্রবাসন নিউজের সম্পাদক খোকন দাস। ]
প্রবাসন নিউজ: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন খাতের সংস্কারের জন্য কমিশন বা কমিটি গঠন করেছে, জনশক্তি রফতানি খাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই খাত নিয়ে কোন সংস্কার কমিটি গঠন করেনি। বিষয়টা কিভাবে দেখছেন?
এম এস সেকিল চৌধুরী : আমি বহুবার বলেছি ও লিখেছি প্রবাসন খাত নিয়ে একটা কমিশন গঠন করা দরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের দাবিটা একটু বেশি। ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ প্রবাসী কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাকী ১৫ শতাংশ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলে তারা তাদের দলের লোকদের নিয়েই কাজ করেন। এটা একটা অভ্যাস হয়ে গেছে আমাদের । আমরা সবাইকে নিয়ে চলতে পারি না। এই সরকারের কাছে আমাদের দাবি এই ৮৫ ভাগ আর ১৫ ভাগ সবার কথা চিন্তা করেই কিছু করার চেষ্টা করুন। আমরা কমিশন গঠনের কথা বলেছি। ওনারা আলাদা কমিশন না করে আর্থিক খাতের কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করে দিতে পারেন, সেটা দিয়েছেন কিনা আমরা জানি না। তবে আমরা চাইবো আলাদা কমিশন করে দেওয়ার জন্য।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বৈদেশিক মুদ্রা আহরণকারী খাত হচ্ছে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স। এখানে শান্তিরক্ষীরা আছেন, তারাও বৈদেশিক মুদ্রা পাঠান। আমাদের কিছু ছাত্র আছেন যারা পিএইচডি করছেন বা বিভিন্ন কাজ করছেন তারাও তাদের সঞ্চয়টা বাংলাদেশে পাঠান। এদের নিয়ে প্রায় দুই কোটি মানুষ দেশের বাইরে আছেন। তাদের সুবিধা-অসুবিধা এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সুবধিা-অসুবিধা, তাদের বিনিয়োগের সুবিধা-অসুবিধা এই দুটো বিষয়ে দেখার জন্য একটা ডেডিকেটেড কমিশন গঠনের দাবি রাখে।
মাঝে মাঝে আমরা আক্ষেপ শুনি, এই সরকারের কাছে সব চাইছেন কেন? এটা সত্য ঠিক আছে। তবে এটাও সত্য যে, প্রবাসীদের চাওয়ার জন্য একটা দল নিরপেক্ষ সরকারই উপযুক্ত। কেননা বেশিভাগ প্রবাসী কোন দলের সঙ্গে যুক্ত নয়, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত। আমরা আশা করবো সরকার সংস্কার কমিশন করবে।
এই সরকার যে কয়দিনই থাকুক না কেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে কয়টা খাতকে চিহ্নিত করে এগোনো দরকার তার মধ্যে একটা হচ্ছে পাচার হওয়া অর্থগুলো ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা, অর্থনীতির ক্ষয় রোধ করা। দ্বিতীয়টা হচ্ছে প্রবাসন খান নিয়ে একটা কমিশন করা। আর নির্বাচন তো গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলো নিশ্চয় এই নিয়ে কথা বলবে। আমরা আর্থিক খাত ও অভিবাসন খাতের কথাই বলবো। এই খাতের সংস্কার সবার আগে হওয়া দরকার।
প্রবাসন নিউজ: সংস্কারে কোন বিষয়টা বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে?
এম এস সেকিল চৌধুরী : সর্বাগ্রে অভিবাসন ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে। অনেকে এই সেক্টর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন। আমরা মাঠ পার্যায়ের কিছু কাজ করছি, কিছু প্রস্তাবনা তৈরি করে সরকারের কাছে পাঠাই। বিদেশি সরকারের কাছেও দিই, যাতে সেসব দেশে আমাদের অভিবাসীরা ভালো থাকে। সবার পরমর্শগুলো নিয়ে অভিবাসন ব্যায় কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এখানে যারা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের একটা অংশ থাকতে পারে। খাত সম্পর্কে অভিজ্ঞ লোকজন, যারা এই ব্যবসাটা করেন না তাদের মতামতটা বেশি নেওয়া দরকার। তারা নিরপেক্ষভাবে কিছু মতামত দিতে পারবেন।
এজেন্সিগুলোর একটি সংগঠন আছে; বায়রা, সংগঠনটির রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে। নির্বাচন থেকে শুরু করে সব কিছুতে প্রভাবশালীদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অভিবাসন ব্যয় কমানো কঠিন নয়। একটা সিস্টেম যদি ডেভেলপট করা যায়, তদারকি করা যায় তা হলে অভিবাসন ব্যয় কমানো কঠিন নয়।
প্রবাসন নিউজ : আমাদের বন্ধ শ্রমবাজারগুলো চালু করা, চালু শ্রমবাজারকে বিকশিত করা এবং নতুন নতুন শ্রমবাজার তৈরিতে কি ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে?
এম এস সেকিল চৌধুরী : এখানে নিশ্চিতভাবে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা এই সেক্টরের সংস্কারে কমিশনের কথা বলছি। আমি বলবো এই বিষয়ে একটা স্থায়ী কমিশন হতে পারে। তাদের কাজ হবে বাজার খোঁজ করা, বাজার তদারকি করা। বাজার লালনপালন করা। একটা দেশে আমরা অনেক শ্রমিক পাঠিয়েছি, পাঠালেই আমাদের দায়িত্ব শেষ নয়। শ্রমিকগুলোর অবস্থা কি সেটা দেখারও একটা ব্যাপার আছে। এর বাইরে নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে।
আমদের অনেক খাত আছে সে সব খাত থেকে অনেক আয় হয়, কিন্তু সেই খাত থেকে অনেক ব্যয় হয়ে যায়। আপনি এক্সপোর্ট করছেন, তার বিপরীতে অনেক ইমপোর্ট করে ফেলছেল। ফলে নেট গেইন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ থাকে না। আমাদের প্রবাসী খাতে আয় যে ২০ থেকে ২২ বিলিয়ন হয় তার পুরোটা বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে বাংলাদেশে চলে আসে। সরকার এটাকে ব্যবহার করতে পারছে প্রয়োজন মতো। প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থের খাতটি সবচেয়ে বৃহৎ। এটিকে সঠিকভাবে লালন করতে পারলে আমরা আরো এগিয়ে যাবো।
প্রবাসন নিউজ : আমাদের বাজার মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রীক, ইউরোপের বাজার ধরার ক্ষেত্রে কি করণীয় বলে আপনি মনে করেন?
এম এস সেকিল চৌধুরী : ইউরোপের বাজার আর মধ্যপ্রাচ্যের বাজারের ধরন এক নয়। মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে আমরা স্কিল্ড, সেমি স্কিল্ড, আন স্কিল্ড শ্রমিকদের পাঠাতে পারি। ওইসব দেশে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ আছে। তারা শুধু শারীরিক সক্ষমতা দিয়েই সেখানে কাজ করছে। এটারও প্রয়োজন আছে। পাশাপাশি আমরা স্কিল্ড শ্রমখাত তৈরি করতে পারি, যাদের বিভিন্ন টেকনোলজিক্যাল জ্ঞান থাকবে , সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছোট ছোট কাজ পারবে তারা। ইলেকট্রনিক্সের মধ্যে ছোট ছোট কাজ আছে, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতেও অনেক কাজ আছে। মালয়েশিয়াতেও ছোট ছোট স্কিলের কাজের চাহিদা আছে। দুই তিন মাসের কোর্সের ট্রেনিং হলেই আমরা দক্ষ করে তুলতে পারি।
রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ছাড়া এগুলো করা সম্ভব নয়। একজন ব্যক্তি খাতের উদ্যোক্তা, যিনি লোক পাঠান তার পক্ষে তিন মাস ধরে টেনিং দেওয়া সম্ভব না।
ধরে নেন দক্ষিণ কোরিয়াতে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু টেকিনিক্যাল কাজ করার জন্য আমরা ১০০টা কাজ পেলাম। সরকার বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে কিছু লোককে প্রস্তুত করে পাঠাতে পারে।
প্রবাসন নিউজ: নারী কর্মী অভিবাসন অনেক কমে গেছে। এর কারণ কি? নারী অভিবাসন বাড়াতে কি ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে?
এম এস সেকিল চৌধুরী : মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আমাদের দেশ থেকে নারী কর্মী নিয়েছে। এর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তার কারণ এই সেক্টরটাকে আমরা ভালোভাবে তদারকি করতে পারিনি। মেইল মাইগ্রেশনে যেমন অনেক কিছু দেখবার প্রয়োজন হয় না, ফিমেইল মাইগ্রেশনে বাসস্থান থেকে শুরু করে অনেক কিছু নজরে রাখার বিষয় থাকে। এই জায়গায় আমাদের দুর্বলতা আছে, দুর্বলতা থাকার কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তদারকি ব্যবস্থার মাধ্যমে এই দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে পারি। সংশ্লিষ্ট দেশে যে মিশন আছে তাদেরও এই বিষয়ে দায়িত্ব রয়েছে।
কেবল মধ্যপ্রাচ্যের দেশে নয়, ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও নার্সিংয়ের অনেক কাজ আছে, শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্তরে ছোট ছোট কাজ আছে, যেগুলো আমাদের মেয়েরা অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে করতে পারে। মেয়েদের কাজের সুনাম আছে, আন্তরিকতার সুনাম আছে। বিশ্বের সব দেশে পুরুষের যেমন আছে, তেমনি মহিলাদেরও সুনাম আছে। তারা অনেক পরিশ্রম করে টাকা দেশে পাঠাতে চায়, তাদের সঞ্চয়ের মানসিকতা আছে। তাদের অন্যায় কাজে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা কম। তাই এই বিষয়ে আমরা বিশেষ মনোযোগ দিতে পারি। এর মাধ্যমে ফিমেইল মাইগ্রেশন সম্প্রসারণ করা সম্ভব।
প্রবাসন নিউজ : ইউরোপের দেশগুলোর এম্বাসি আমাদের দেশে নেই। ইউরোপের ভিসার জন্য আমাদেরকে পার্শবর্তী দেশে যেতে হচ্ছে। এতে অভিবাসন ব্যয় বাড়ছে, সময় বেশি লাগছে। এই বিষয়ে কিছু বলুন।
এম এস সেকিল চৌধুরী : আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, ভিসার জন্য আর একটা দেশে যেতে হবে কেন? তবে ইউরোপের দেশগুলোর এম্বাসি খোলার বিষয়টা সে সব দেশের প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে। আমি আগেও বলেছি ইউরোপের শ্রমবাজারটা আমাদের জন্য ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত নয়। শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার জন্য আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করিনি। এম্বাসিগুলো যদি খোলে অনেক ভালো হবে। ইউরোপে অনেক শ্রমজীবী মানুষের প্রয়োজন আছে, সেখানে শ্রমব্যয় বেড়ে গেছে। কেবল তাই নয়, আমাদের গার্মেন্টসে যে দক্ষতা আছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ফিমেইল ওয়ার্কাররা সেখানে কাজ করতে পারে। রোমানিয়ায় কিছু কিছু গেছে। সব দেশের নেই তা নয়, সম্ভবত ১৮টা দেশের এম্বাসি নেই, তাদেরকে যদি আমরা বুঝাই, সরকার যদি চেষ্টা করে অন্তত ভিসা সেন্টারটা করা যেতে পারে।
প্রবাসন নিউজ : আমরা অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলেছি, এই ব্যয় বৃদ্ধির জন্য মূলত ভিসা ট্রেডিং দায়ী। এটা বন্ধ করা যায় কিভাবে?
এম এস সেকিল চৌধুরী : কোন দেশ বাইরে থেকে ভিসা কেনে না। নেপাল ভিসা কেনে না, ফিলিপাইন কেনে না, ম্যানিলা কেনে না। শ্রীলংকা ভিসা কেনে না। আমাদের এখানে কিনে। কিনে কেন? আমাদের এখানে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি। তারা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে। এই জিনিসটা বুঝেন না যে জাতিগতভাবে আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। একজন যদি ৫ হাজার দিরহাম দিয়ে একটা ভিসা কেনেন এই ব্যয়টা তিনি শ্রমিকের উপর দেবেন।
তিনি যদি না কেনেন, আরো একজন যদি না কেনেন, যারা ব্যবসা করে তারা যদি না কেনেন, সবাই একমত হয়ে যদি বলেন আমরা ভিসা কিনবো না, তা হলেই বন্ধ হবে। মিশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও এই ভিসা ট্রেডিংএ যুক্ত হয়ে গেছেন। কেননা এখানে কাঁচা টাকার ব্যাপার আছে।
তার লোক দরকার আছে, সে তো এমনি এমনি নিচ্ছে না, কাজের প্রয়োজনে নিচ্ছে। সেই নেওয়ার অনুমতি পত্রটা আমাদের কিনতে হবে কেন? কিনছি এই জন্য, আপনি কিনতে চান, আরো ৫ জন কিনতে চায়। আমরাই দরকষাকষি করছি। আমরা যদি সার্ভিস দিয়ে দরকষাকষি করি, টাকা দিয়ে নয় এবং এই বিষয়ে একমত হই তা হলে ভিসা ট্রেডিং বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রবাসন নিউজ: বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের প্রসেসিং টাইম অনেক বেশি, এর জন্য আমরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছি। প্রসেসিং টাইম কমাতে কি করা যায়?
এম এস সেকিল চৌধুরী : এই বিষয়ে একটা ডেডিকেটেট ইউংস দরকার। স্বল্প সময়ে মেডিকেল করা, পাসপোর্ট করা, ভিসা প্রসেসিং, সার্টিফিকেশন, টিকিটের ব্যবস্থা করা মোটেই কঠিন কাজ নয়। ধরেন, এখানে দুইশ লোকের পাসপোর্টের প্রয়োজন আছে, পাসপোর্টের যে উইংটা থাকবে তারাই পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গার, ছবি তোলা সবই করে দেবে। আপনারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিআইপিদের পাসপোর্ট ইস্যু করতে পারছেন, ন্যায় অন্যায় আনেক কিছু সেখানে আছে পত্র পত্রিকায় দেখেছি। তার মানে এই সার্ভিসটা দেওয়া সম্ভব। তা হলে প্রবাসীদের ক্ষেত্রে কেন পারছি না। চাইলেই প্রসেসিং টাইম কমানো সম্ভব।
প্রবাসন নিউজ: মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য প্রবাসন নিউজের পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক ধন্যবান।
এম এস সেকিল চৌধুরী : প্রবাসন নিউজকেও ধন্যবাদ।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
খোকন দাস
সম্পাদক মন্ডলি
সৈয়দা পারভীন আক্তার
ফকরুদ্দীন কবীর আতিক
মোঃ ইলিয়াস হোসেন
মোঃ শাহাদাত হোসেন
পরিচালক মন্ডলি
ছিদ্দিকুর রহমান ভুঞ্রা (পরিচালক, ফিন্যান্স)
মোস্তাফিজুর রহমান (পরিচালক, পাবলিকেশন)
শান্ত দেব সাহা (পরিচালক, এইচ আর)
শাহরিয়ার হোসেন (পরিচালক, মার্কেটিং)
বার্তা সম্পাদক
মোঃ হাবীবুল্লাহ্
সিনিয়র রিপোর্টার
মোঃ জাকির হোসেন পাটওয়ারী
ভারপ্রাপ্ত প্রকাশক, আরিফুর রহমান কর্তৃক
ডা. নওয়াব আলী টাওয়ার, ২৪ পুরানা পল্টন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৩২ ৪১৭ ৫১৭
Email: [email protected]
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || ProbasonNews.com