ফাইল ছবি
বাংলদেশে ইতালির এম্বাসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ভিসা জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ ও ইতালি উভয় দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উভয় দেশের পুলিশ বিভাগকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং এম্বাসির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইতালির পুলিশের পক্ষ থেকে পরিচালিত অভিযানে এর মধ্যে দূতাবাসের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রবাসীদের শোষণ ও হয়রানি থেকে মুক্ত করতে এবং এম্বাসি ও এর বাইরের অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।
কনস্যুলার ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে লেনদেন না করতে ভিসা আবেদনকারীদের প্রতি আহ্বান করা হয়েছে। এছাড়া ভিসা প্রক্রিয়ায় যে কোন ধরনের অসদাচরণের ঘটনা ঘটলে তা কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্য আবেদনকারীদের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এম্বাসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভিসা প্রসেসিং সময়ে অনেক উন্নতি হয়েছে এবং আগামী এক মাসের মধ্যে সৃষ্ট জটিলতা দূর হবে।
এখানে উল্লেখ্য, ঘুষ ও অবৈধভাবে ভিসা দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশে ইতালি দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর পরপর এম্বাসির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ব্রাসেলস সিগন্যালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোমের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস ইতালীয় দূতাবাসের কর্মীদের ঘুষ ও অবৈধ ভিসা বাণিজ্যের চক্রের সন্ধান পেয়েছে।
অভিযুক্ত দূতাবাস কর্মকর্তারা ইতালির ব্রাদার্স অব ইতালি (এফডিআই) দলের একজন সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সদস্য আন্দ্রেয়া দি জিউসেপিকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাকে ২০ লাখ ইউরো এবং ইতালিতে সফলভাবে প্রবেশ করার জন্য অভিবাসী প্রতি তাদের আয়ের একটি অংশ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ঘুষ না নিয়ে দুর্নীতির এই প্রচেষ্টার রেকর্ডপত্র নিয়ে রোমের প্রসিকিউটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর পরই দূতাবাস কর্মকর্তাদের ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি সামনে আসে।
অভিযোগ অনুযায়ী, অবৈধভাবে কাজের ভিসা বিক্রির এই স্কিমে রোমে একজন বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ও রেঁস্তোরা মালিক জড়িত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন সহজতর করার জন্য স্থানীয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছিলেন।
রোমের প্রসিকিউটরদের মতে, ঢাকায় তিনজন ইতালীয় কনস্যুলার কর্মী ওই বাংলাদেশির সহযোগী ছিলেন। এই চক্র কাজের ভিসা দেওয়ার বিনিময়ে নগদ অর্থ, উচ্চমানের ইলেকট্রনিকস, বিলাসবহুল ঘড়ি এবং দুবাই ভ্রমণের সমস্ত খরচ বহন করাসহ বিমানের টিকিট এবং কর্মকর্তাদের বন্ধু ও আত্মীয়দের পক্ষে বিভিন্নভাবে ঘুষ দাবি করেন।
প্রসিকিউটরদের মতে, সন্দেহভাজনরা এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিতেন। ভিসার জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে তারা বাধ্য করতেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
খোকন দাস
সম্পাদক মন্ডলি
সৈয়দা পারভীন আক্তার
ফকরুদ্দীন কবীর আতিক
মোঃ ইলিয়াস হোসেন
মোঃ শাহাদাত হোসেন
পরিচালক মন্ডলি
ছিদ্দিকুর রহমান ভুঞ্রা (পরিচালক, ফিন্যান্স)
মোস্তাফিজুর রহমান (পরিচালক, পাবলিকেশন)
শান্ত দেব সাহা (পরিচালক, এইচ আর)
শাহরিয়ার হোসেন (পরিচালক, মার্কেটিং)
বার্তা সম্পাদক
মোঃ হাবীবুল্লাহ্
সিনিয়র রিপোর্টার
মোঃ জাকির হোসেন পাটওয়ারী
ভারপ্রাপ্ত প্রকাশক, আরিফুর রহমান কর্তৃক
ডা. নওয়াব আলী টাওয়ার, ২৪ পুরানা পল্টন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৩২ ৪১৭ ৫১৭
Email: [email protected]
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || ProbasonNews.com